ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ শহীদ মিনার ভাঙার অভিযোগে সুগন্ধ্যা পৌর আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত প্রধান শিক্ষিকা রিতা মন্ডলের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় জেলা পরিষদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি শারমিন মৌসুমি কেকাকে অব্যাহতি দিয়ে অপর দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. হযরত আলী গত ২১ অক্টোবর এজাহার রেকর্ডের পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে এজাহারনামীয় আসামী শহর বিএনপি (ওমর গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু ও জেলা যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন।
সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মামলার বাদী রিতা মন্ডল অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৪ আগস্ট ঝালকাঠি শহর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা ও জেলা যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফসহ অজ্ঞাত ১৪/১৫ জন আসামীরা সুগন্ধা আদর্শ পৌর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে সেখানে বাণিজ্যিক ভবন ও স্টল নির্মাণ শুরু করে। মামলার বাদী প্রধান শিক্ষিকা রিতা মন্ডলসহ সাক্ষীরা তাদের ভয়ে এতে বাধা দিতে বা প্রশাসনকে জানাতে সাহস না পেলেও বিদ্যালয় পরিচালনার নতুন এডহক কমিটির সভাপতি সানাউল হক সানু গাজী দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ মিনার ভাঙার ঘটনায় তিনি দ্রুত বিচার আইনে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন।
এ বিষয়ে মামলায় অব্যাহতি প্রাপ্ত সুগন্ধা আদর্শ পৌর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকা জানান, প্রধান শিক্ষিক রিতা মন্ডল তার দুর্নীতি-অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতা ঢাকতে যে মিথ্যা-বানোয়াট মামলা করেছিল, সেটা পুলিশের তদন্তে ঘটনার প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও সামাজিক ভাবে বিতর্কিত করার বিষয়ে তিনি এই মুহূর্তে আমি কোন পদক্ষেপ না নিলেও প্রকৃত সত্য কি হয়েছিল সেটা ঝালকাঠিবাসী ভবিষ্যতে দেখতে পাবেন। এ ব্যাপারে চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামী শহর বিএনপি (ওমর গ্রুপ) সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু জানান, আমাকের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এই মামলায় আসামী ও চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসাবে স্টল ভাড়া নেয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। শহীদ মিনার ভাঙার তো প্রশ্নই ওঠেনা। তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক তদন্ত না করে বাইরের লোক জড়িয়ে চার্জশিট দিয়েছে।’ এই মামলায় গ্রেপ্তার একমাত্র আসামী জেলা যুবমহিলা লীগের সহ-সভাপতি ফাতেমা শরীফের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। আগামী ১১ নভেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত আগামী ১১নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।’
Leave a Reply